মাছ খাইয়েছেন দিলীপ, ঝালও ঝেড়েছেন
তাঁকে ক্ষান্ত করা যায়নি। বিয়ে করেছেন। বিয়েতে মাছও খাইয়েছেন। নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে নাকি তাঁকে অনেক 'না'কে 'না' করতে হয়েছে। কারণ তিনি অনড়। বিয়ের আগেই অবশ্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল সঙ্ঘ ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। তবে বঙ্গ বিজেপির টিকি যে বলয়ে বাঁধা, তাঁরা তো নিরামিষের পক্ষে। তা হোক, দিলীপ বাঙালি। তায় একগুঁয়ে। সেই তিনি একেবারে বোমা ফাটিয়েছেন। যা নিয়ে মারমার কাট কাট।
রাজ্য
5/4/20251 min read


তাঁকে ক্ষান্ত করা যায়নি। বিয়ে করেছেন। বিয়েতে মাছও খাইয়েছেন। নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে নাকি তাঁকে অনেক 'না'কে 'না' করতে হয়েছে। কারণ তিনি অনড়। বিয়ের আগেই অবশ্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল সঙ্ঘ ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। তবে বঙ্গ বিজেপির টিকি যে বলয়ে বাঁধা, তাঁরা তো নিরামিষের পক্ষে। তা হোক, দিলীপ বাঙালি। তায় একগুঁয়ে। সেই তিনি একেবারে বোমা ফাটিয়েছেন। যা নিয়ে মারমার কাট কাট।
দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দির স্বস্ত্রীক দর্শন করেছেন তিনি। এক প্রকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি ছবিও তুলেছেন। তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের মাঝে তিনি ছিলেন একা পদ্ম। মন্দির দর্শন নিয়েই বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। পরের দিন চেনা স্বভাবে বোমা ফাটালেন দিলীপ।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, অন্য কারও ভালোবাসা-বিরহ, যাতায়াত নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে নারাজ। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, দিলীপের সিদ্ধান্ত দলের নয়, ব্যক্তিগত। দিলীপ বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় থেকে যাঁরা নেতা হয়েছেন তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন। বললেন দলের কেও কেও হতাশায় ভুগছেন। যাঁদের তিনিই নেতা করেছেন তাঁদেরও কারও কারও পেট ব্যথা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেছেন, কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়ার জন্যই গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি তাঁকে একাধিক জায়গায় ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। আর তাঁর এই বক্তব্যের পরেই মেদিনীপুরে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাকে পড়তে হলো মারমুখী অপরপক্ষ গেরুয়া বাহিনীর মুখে। গেরুয়া বনাম গেরুয়া।
দিলীপ তৃণমূলে যাচ্ছেন বলে গন্ধ পেয়েছিলেন তথাগত রায়। দিলীপ পাল্টা বলেছেন, ওঁ বিজেপিকে কি দিয়েছে? চল্লিশ শতাংশ ভোট আনতে পেরেছে? একটা পঞ্চায়েত জিততে পেরেছে?
মোটামুটি অনেক ঝাল ঝাড়লেন দিলীপ। পাশাপাশি 'বিবাহোত্তর সংবর্ধনা' উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেও কেও বলছেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পালা। তবে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা 'ট্র্যাজিক' নায়ক বলছেন তিনি থাকছেন বিজেপিতেই।