নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চিঠি

E-MAGAZINE

5/9/20251 min read

পরমপূজনীয় মেজদাদা,

আজ পুনরায় আমি বিপদের পথে রওনা হইতেছি। এবার কিন্তু ঘরের দিকে। হয় তো পথের শেষ আর দেখিব না। যদি তেমন বিপদ পথের মাঝে উপস্থিত হয় তাহা হইলে ইহজীবনে আর কোনও সংবাদ দিতে পারিব না। তাই আজ আমি আমার সংবাদ এখানে রাখিয়া যাইতেছি- যথাসময়ে এ সংবাদ তোমার কাছে পৌঁছিবে। আমি এখানে বিবাহ করিয়াছি এবং আমার একটী কন্যা হইয়াছে। আমার অবর্ত্তমানে আমার সহধর্ম্মিনী ও কন্যার প্রতি একটু স্নেহ দেখাইবে- যেমন সারাজীবন আমার প্রতি করিয়াছ। আমার স্ত্রী ও কন্যা আমার অসমাপ্ত কার্য্য শেষ করুক- সফল ও পূর্ণ করুক- ইহাই ভগবানের নিকট আমার শেষ প্রার্থনা।

আমার ভক্তিপূর্ণ প্রণাম গ্রহণ করিবে- মা, মেজবৌদিদি এবং অন্যান্য গুরুজনকে দিবে।

ইতি- বার্লিন ৮ ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৩

তোমার স্নেহের ভ্রাতা

সুভাষ

নেতাজির চিঠি

নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সুভাষচন্দ্র বসু পূর্ব এশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে নিজের বিয়ে ও সন্তানের কথা এই শেষ চিঠিটি লিখেছিলেন তাঁর মেজ দাদা শরৎচন্দ্র বসুর উদ্দেশে।

তবে, চিঠিটি এলগিন রোডে পাঠানো হয়নি। শরৎচন্দ্র বসুকে সম্বোধন করে ওই চিঠি লেখা হয়েছিল। শরৎ বসু চিঠিটি পেয়েছিলেন ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ ভারতের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে কলকাতায় ফিরে আসারও অনেক পরে। তিনি থাকতেন ৩৮/২ এলগিন রোডের কাছে উডবার্ন রোডের ১ উডবার্ন পার্কের বাড়িতে।

১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে শরৎ বসু তাঁর স্ত্রী বিভাবতী দেবী ও সন্তান শিশির বসুর সঙ্গে ভিয়েনায় গিয়ে এমিলি শেঙ্কলের সঙ্গে দেখা করার সময় এমিলি দেবী ওই চিঠি শরৎ বসুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন।